১০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ
রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে দুটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ জেরা অনুষ্ঠিত হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির মামলায় এবং সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ আসামির মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। দুই মামলায়ই আসামিপক্ষের আংশিক জেরা শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত ১০ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. মইনুল হাসান লিপন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির মামলায় চার্জশিটে উল্লেখিত ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অপর মামলায় ২৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ আসামির অন্য একটি মামলায় এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ মামলায়ও আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই একই আদালত তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অন্যদিকে, বাকি তিন মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলায় শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ একাধিক আসামি রয়েছেন। তাদের অনেকে বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গত জানুয়ারিতে রাজউকের পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদক পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, সরকারের দায়িত্বে থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: