[email protected] সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
১৯ কার্তিক ১৪৩২

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি হাবিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য আজ

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২৫ ৮:৫৬ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা এবং দুইজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর)।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে গুলিবিদ্ধ বাসিত খান মুসার বাবা মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দেন—যেখানে তার একমাত্র ছেলে মুসা গুলিবিদ্ধ হয় এবং স্ত্রী মায়া ইসলাম নিহত হন। জবানবন্দির একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, সঙ্গে ছিলেন ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সোবহান তরফদার, সুলতান মাহমুদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৩ অক্টোবর, প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে। প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা ও গুলিবিদ্ধ হওয়া আমির হোসেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। আসামিদের মধ্যে একমাত্র গ্রেপ্তার রয়েছেন রামপুরা ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার। অন্য চারজন পলাতক—খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান, সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মামলার তদন্তে উঠে এসেছে—গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হোটেলে কাজ শেষে ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ আমির হোসেন। পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে তিনি এক নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ওঠেন। সেখান থেকে কার্নিশে ঝুলে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেদিন একই এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন নাদিম ও মায়া ইসলাম। মায়া ইসলামের ছয় বছর বয়সী নাতি বাসিত খান মুসা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়, যার চিকিৎসা এখনও চলছে সিঙ্গাপুরে।

গত ২৬ জানুয়ারি রাতে এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম, প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর