 
                                                                        বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির কাছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ব্যাখ্যা চেয়েছেন - এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, এ ধরনের সংবাদ ভিত্তিহীন। ওই তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা নয়, শুধু মামলা-সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়েছে যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ার কারণে তিন বিচারপতিকে শোকজ করে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয় যে, হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান, মোস্তফা জামান ইসলাম এবং জাকির হোসেনকে নোটিশের বিষয়ে অবহিত করেছেন।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি কোনো শোকজ নোটিশ দেননি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিন বিচারপতির কাছে কেবল মামলা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ ও নিয়মিত দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার অংশ।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিছু গণমাধ্যম সংবাদটি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
আদালত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে গণমাধ্যমকে সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রচার করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ একদিনে প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দেন।
এরপর গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
ওইদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, “উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন দেওয়া বিচারকের এখতিয়ার হলেও, এত স্বল্প সময়ে এতগুলো মামলা শোনা বাস্তবসম্মত কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এসআর
মন্তব্য করুন: