[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন জানা যাবে ১৩ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ৩:৪৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ ঘোষণা দেন।

এদিন মামলার প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি-খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন,

“আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য ধার্য করেছেন। সেদিন আদালত জানাবেন, কত দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে।”

এর আগে, বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

ওইদিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আসামিপক্ষে শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন। টানা তিনদিন যুক্তি উপস্থাপন শেষে তিনি তার মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন।

মামলার পটভূমি

গত ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচ দিনের শুনানি শেষে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। পরে ট্রাইব্যুনাল ২০ অক্টোবর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করে। সেদিন শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন,

“আমার মক্কেল নির্দোষ, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।”

এই মামলায় প্রসিকিউশন মোট ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় তারা কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে।

মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে—

  • তথ্যসূত্র: ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা
  • জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি: ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা
  • শহীদদের তালিকা: ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা

মোট ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর