চব্বিশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, রায়ের দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন,
“রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দিতে ট্রু অ্যান্ড ফুল ডিসক্লোজার পাওয়া গেছে বলে মনে করছে প্রসিকিউশন।”
মামলার তিন আসামির মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন, ফলে তার সাক্ষ্য মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানায় প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ না দেওয়ায় আদালত তাদের পক্ষে আমির হোসেনকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
যুক্তিতর্কে আমির হোসেন বলেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমাবদ্ধ ছিল, তা বৈধ ছিল। তবে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন ছিল অবৈধ।”
তিনি আরও বলেন,
“আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নিঃশর্ত খালাস প্রার্থনা করছি।”
এদিকে প্রসিকিউশন পক্ষ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অপ্রতিরোধ্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সব পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত জানায়, রায়ের তারিখ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: