[email protected] বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

গুমের শিকার বিশেষ বন্দিদের ‘মোনালিসা’ নামে ডাকা হতো: চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৫ ৮:১৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল।

বিশেষ বন্দিদের ‘মোনালিসা’ নামে ডাকা হতো।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই তথ্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন,

“গুমের শিকার ব্যক্তিদের হাত কেটে ফেলা, নখ উপড়ে ফেলা, ঘূর্ণায়মান চেয়ারে বসানো বা ইলেকট্রনিক শক দিয়ে লোমহর্ষক নির্যাতন করা হতো। বিশেষ বন্দিদের আলাদা ‘কোড নেইম’ থাকত—তাদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’। গুম ঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’, যা পরবর্তীতে ‘আয়না ঘর’ নামে পরিচিতি পায়। গোপন বন্দিশালাগুলোকে ‘হাসপাতাল’ বা ‘ক্লিনিক’ নামে ডাকা হতো। আর গুমের শিকারদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’।”

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বুধবার আমলে নিয়েছে। একইদিন বিচারিক প্যানেল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানি শেষে, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনসহ আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে। বর্তমানে এই দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর