প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসএসএফ স্টাফ ইমরান কারাগারে

চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরের (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর) বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) অফিস স্টাফ মো. ইমরানকে (৩০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।

আপস না হওয়ায় জামিন বাতিল

বাদীপক্ষের আইনজীবী দুলাল মিত্র জানান, গত ১৭ আগস্ট আসামি ও বাদীর মধ্যে আপসের শর্তে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপস না হওয়ায় মঙ্গলবার আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আইনজীবী আরও বলেন, বর্তমানে ইমরান প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরে এসএসএফের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে প্রতারণার সময় তিনি নিজেকে এসএসএফ কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখান।

চাকরির প্রলোভনে ৪.৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইমরান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর) অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে বাদী সুবাস মালোর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেন।

চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে ইমরান নানা অজুহাতে ঘোরাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এরপর ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাদী সাত দিনের লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও আসামি টাকা ফেরত দেননি। পরে আদালতে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা

তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মো. মমতাজ উদ্দিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যেখানে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

এরপর আদালত ইমরানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু হাজির না হওয়ায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট ইমরান গ্রেপ্তার হন। তিন দিন পর আদালত আপসের শর্তে তার জামিন দেন। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে আপস না হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।