ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি এবং কেন্দ্রের ভেতরে স্বল্প সময় অবস্থান ও সরাসরি সম্প্রচারে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে, তা কোনো বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়—বরং আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি বলেন, “আপনারা আমাদের ভুল বুঝবেন না।
এটা শুধুই আইনি প্রয়োজনীয়তা—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সঙ্গে সমন্বয় রেখে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। গণমাধ্যম আমাদের তথ্যের উৎস, প্রতিপক্ষ নয়।”
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই বিধান রাখা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য কেবল প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা বজায় রাখা, কোনোভাবেই গণমাধ্যমের কার্যক্রম সীমিত করা নয়।
মতবিনিময় সভায় টেলিভিশন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ, সরাসরি সম্প্রচার এবং ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থানের সুযোগ রেখে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানান।
‘গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না, আস্থা ফিরিয়ে আনুন’
সভায় ডিবিসি নিউজের সম্পাদক লোটন একরাম বলেন, “গণমাধ্যমের ওপর সীমাবদ্ধতা থাকলে স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। অনিয়ম হলে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখা এবং সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়টি স্বচ্ছতা ব্যাহত করবে। গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ হিসেবে না দেখে সহযোগী হিসেবে দেখা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও মাঠপর্যায়ে দায়সারা মনোভাব দূর করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণার আগেই ইসিকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচনী ব্যয় ও প্রার্থীদের হলফনামার সঠিকতা যাচাইয়ে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
এটিএন নিউজের সাংবাদিক শহিদুল আজম বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে ভোটারদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির দৃশ্যমান ভূমিকা নিশ্চিত করলেই নির্বাচনে সবার আস্থা ফেরানো সম্ভব।”
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: