[email protected] মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৫ আশ্বিন ১৪৩২

আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মেঘনা আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩:৩১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন মডেল মেঘনা আলম।

তবে আদালত আবেদন নাকচ করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে এ আবেদন করেন মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন খারিজ করেন।

আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেঘনা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমাকে সবার সামনে ছোট করা হয়েছে। যদি আদালতেই মিথ্যা বলা হয়, তবে আমরা ন্যায় বিচার কোথায় পাব?”

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন রেজা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ফরেনসিক রিপোর্ট সম্পন্ন না হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। এ কারণেই আজ পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ফরেনসিক বিলম্বিত করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ বলেন, জব্দকৃত মোবাইল ও ল্যাপটপে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মেঘনা এখনো পাসওয়ার্ড দেননি। তাই ফরেনসিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত আলামত ফেরত দেয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

পরে আদালতের আদেশে ২৮ এপ্রিল ওই আটকাদেশ বাতিল হলে তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে মামলার কার্যক্রম চলমান।

চাঁদাবাজি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মেঘনা আলম ও তার সহযোগীরা কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তার সম্পর্কের প্রসঙ্গ গণমাধ্যমে আসে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর