ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে পৃথক করে নতুন সংসদীয় আসন গঠন করা হবে না কেন—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার (দুই ইউনিয়ন বাদে) সমন্বয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করেই রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন, ২০২১–এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির পল্লব আরও জানান, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ আসনকে একীভূত করে ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুরকে নিয়ে একটি আসন (ফরিদপুর-৪) তৈরি করে। পরে রিট আবেদনকারীরা পুরোনো কাঠামো অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দুটি স্বতন্ত্র আসন পুনর্বহালের আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করে দেয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: