[email protected] রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩০ ভাদ্র ১৪৩২

১২১ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩:৫৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ইতোমধ্যেই ১২১ বার পিছিয়েছে।

সর্বশেষ আগামী ৩০ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে হাজির হলেও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ কারণে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে মামলার তদন্ত অগ্রগতি বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কি সিআইডিতে কর্মরত?” জবাবে তিনি বলেন, “না স্যার, আমি পিবিআইতে।”

বিচারক এরপর জানতে চান তদন্ত কতদূর অগ্রসর হয়েছে। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এ সময় দুই জনের মিশ্র ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেলেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণেই প্রতিবেদন দাখিলে দেরি হচ্ছে।

বিচারক এ সময় বলেন, “যা বুঝলাম, আগের তদন্ত কর্মকর্তাও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তবে আপনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।”

এর আগে গত ১১ আগস্টও আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন—বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

প্রথমে মামলার তদন্তভার ছিল শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শকের ওপর। পরে পর্যায়ক্রমে ডিবি, র‌্যাব এবং শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাইকোর্ট মামলার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। একই বছরের অক্টোবরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এবং ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পার হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি টাস্কফোর্স।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর