আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বীকার করেছেন যে আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় তিনি লজ্জিত, অনুতপ্ত এবং ক্ষমা প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন—
“সাবেক আইজিপি নিজের বিবেকের তাড়নায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদনও করেছেন। তবে তিনি ক্ষমা পাবেন কি না, সেটা আদালতই নির্ধারণ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “সাবেক আইজিপির দেওয়া সাক্ষ্য অকাট্য ও অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বের কোনো আদালতই এই সাক্ষ্যকে দুর্বল প্রমাণ করতে পারবে না। এটি শুধু জুলাই-আগস্টের ঘটনার দলিল নয়, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের বিরুদ্ধেও শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।”
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৭ ধারায় বলা হয়েছে, রাজসাক্ষী সেই ব্যক্তি যিনি অপরাধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থেকেও শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা পাওয়ার বিনিময়ে মূল অপরাধী ও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ ও সত্য ঘটনা আদালতে প্রকাশ করেন।
আইন অনুযায়ী—
প্রখ্যাত আইনবিদ গাজী শামসুর রহমান তার ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ভাষ্য’ গ্রন্থে লিখেছেন, রাজসাক্ষীর জবানবন্দি যদি অন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হয়, তবে তার ভিত্তিতে আসামিদের দণ্ড দেওয়া সম্ভব। তবে যদি রাজসাক্ষী সত্য গোপন করেন, সেক্ষেত্রে সরকারি কৌঁসুলি তাকে পুনরায় আসামি হিসেবে আদালতে প্রত্যয়ন করতে পারেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: