সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে আন্দোলনের সমন্বয়কদের গ্রেপ্তার করে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ক্যামেরা ট্রায়ালে তিনি এ তথ্য দেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করে।
আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে সেনা মোতায়েনের পর থেকে প্রায় প্রতিরাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে কোর কমিটির বৈঠক হতো। সেখানে আন্দোলন দমনসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ ঠিক করা হতো। এসব বৈঠকে সাবেক স্বরাষ্ট্র ও অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতেন।
গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা জুলাই-আগস্টের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার অন্য আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: