[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সাবেক ১০ নির্বাচন কমিশনার ও ২ সচিবের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ আগষ্ট ২০২৫ ৯:২৩ পিএম

সংগৃহীত ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, আরও ৯ জন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং দুই সাবেক সচিবসহ মোট ১২ জনের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

  • নির্বাচন কমিশনার: মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান
  • সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব: হেলালুদ্দীন আহমদ ও মোহাম্মদ সাদিক

আদালতের আদেশে বলা হয়, আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তে যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চকে (এসবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ জুন বিএনপির পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বিগত বিভিন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ভয়ভীতি ও প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।

এই মামলায় ২০১৪ সালের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ২০১৮ সালের সিইসি কেএম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও উচ্চপদস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও রয়েছেন মামলার তালিকায়।

গ্রেপ্তার ও রিমান্ড:

  • ২২ জুন কেএম নূরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মোট ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
  • ১ জুলাই তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
  • ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত চলছে, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর