সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার কিছু পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২৩ সালের আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ ‘বিতর্কিত ও বেআইনি’ কয়েকটি রায় দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিচারক হিসেবে তিনি ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষপ্রসূত’ আচরণ করেছেন এবং ‘জাল রায়’ প্রস্তুত করেছেন।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবিএম খায়রুল হক। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি প্রকাশ্যে আর দেখা যাননি।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত রায় দেন। এর মধ্যে রয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল, বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে লিভ টু আপিল খারিজ, এবং নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে অপসারণের সরকারি সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেওয়ার আদেশ। এছাড়া ‘দৈনিক আমার দেশ’-এর সম্পাদককে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে তার সময়কার আলোচিত রায়গুলোর মধ্যে।
এসআর
মন্তব্য করুন: