[email protected] মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
৩১ আষাঢ় ১৪৩২

‘৮ দিন পর পর্তুগালের ফ্লাইট, আমি ফেঁসে গেছি’ — আদালতে রবিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫ ৮:৪৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তাদের মধ্যে অন্যতম দুই আসামি—তারেক রহমান রবিন ও মো. টিটন গাজী—আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে হাজির করা হলে, রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর টিটন গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ডে যান।

 

দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির হয়ে রবিন বলেন, “আমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু মানুষ আমাকে দোষী ভাবছে। আর মাত্র আট দিন পর আমার পর্তুগালের ফ্লাইট ছিল। বিদেশ যাওয়ার জন্য ২২ লাখ টাকা খরচ করেছি। আমি ফেঁসে গেছি।”

রবিনের দাবি, তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না এবং কারও সঙ্গে তার পূর্বপরিচয়ও ছিল না। আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। আমার মা অসুস্থ হয়ে গেছেন, তার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। আর কিছু বলার নেই।”

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রবিনের কাছ থেকে একটি অবৈধ একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

 

একইদিন আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা টিটন গাজী বলেন, “আমি কোনো আঘাত করিনি। ভিডিও মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝবেন—আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। পেস্ট রঙের গেঞ্জি পরা আমি, সেখানে আমার কোনো ভূমিকা নেই।”

বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করলে টিটন জানান, তার কোনো আইনজীবী নেই। পরে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন সড়কে ব্যবসায়ী সোহাগকে পিটিয়ে ও কংক্রিটের টুকরো দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। একই সঙ্গে পুলিশ বাদী হয়ে আলাদাভাবে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

মামলার আসামিদের মধ্যে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত পাঁচজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে রবিন আদালতে জবানবন্দি দেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর