[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৫ ৫:০৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় রাষ্ট্রের খরচে আসামিপক্ষের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও, ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির সুবিধার্থে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষাপটে দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিত্তিতে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে অভিযুক্তদের ১৫ মে’র মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেয়।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব না দেওয়ায় ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে তাদের উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, একটি অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়: “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেটি সত্য বলে নিশ্চিত করে।

এ ঘটনার পরই আদালত অবমাননার অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি। ফলে ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হয়

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর