এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিনটি আবেদনের পর ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে আবেদনগুলো উপস্থাপন করেন।
আদেশ অনুযায়ী, সাইপ্রাসে সাইফুল আলমের নামে থাকা একটি দোতলা আবাসিক ভবন এবং ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে দম্পতির নামে থাকা ১৮টি কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করা হবে। এর মধ্যে ‘হাজেল ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড’ ও ‘পিকক প্রপার্টি হোল্ডিংস লিমিটেড’ এস আলম পরিবারের মালিকানাধীন। বাকি ১৬টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে শুধু সাইফুল আলমের নামে।
এছাড়া ব্রিটিশ রাজতন্ত্রাধীন দ্বীপ অঞ্চল জার্সিতে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠিত ছয়টি ট্রাস্টের সম্পদও ফ্রিজের আওতায় এসেছে। এগুলো পরিচালিত হচ্ছে একটি জার্সি-ভিত্তিক ট্রাস্ট কোম্পানির মাধ্যমে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব ট্রাস্টের মধ্যে ‘ম্যাপল ট্রাস্ট’-এ মালয়েশিয়ার রেনেসাঁ হোটেল ও ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটনে ২১ কোটি ডলার (২১০ মিলিয়ন USD) বিনিয়োগ রয়েছে। অন্য ট্রাস্টগুলোর সম্পদের পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: