ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইফতেখার হাসান ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরশুরাম উপজেলা সমন্বয়ক নাহিদ রাব্বি (২৮) এবং চাকরি প্রার্থী আব্দুল কাদের (৩০)। নাহিদ রাব্বি পরশুরাম পৌরসভার কোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আব্দুল কাদের অনন্তপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ডা. ইফতেখার হাসান হাসপাতালে অবস্থানকালে একটি অডিও ক্লিপ পান, যেখানে নাহিদ রাব্বিকে একজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথোপকথনে ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়। দুই মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ওই কথোপকথনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য ও দুর্নীতির ইঙ্গিত রয়েছে।
অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে নাহিদ রাব্বিকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক।
এ বিষয়ে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম মামলাটি রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেনী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় মোট ১১৫টি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় ১২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে গড়ে ১০৮ জন প্রার্থী অংশ নেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: