[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাওন ও ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫ ৬:২৪ পিএম

ফাইল  ছবি

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

সৎ মা নিশি ইসলামের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ এই আদেশ দেন।

আদালতের আদেশপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন: সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, সেঁজুতি, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন, আর বাকি ১০ জনই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে ২২ এপ্রিল আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের সিদ্ধান্ত ও মামলার অগ্রগতি

মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই। এদিন আদালতে জামিনে থাকা দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. পিন্টুর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মামলার পটভূমি ও অভিযোগের বিবরণ

২০২৪ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিশি ইসলাম ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের সময় তিনি পূর্বের স্ত্রীর বিষয়টি গোপন রাখেন এবং প্রতারণার আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে নিশি ইসলাম জানতে পারেন, তার স্বামীর আগের স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বাদীকে হুমকি দেন। ৪ মার্চ গুলশানে মো. আলীর বাসায় গিয়ে নিশি ইসলাম প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন। সেখানেই তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

৫ মার্চ শাওন, এডিসি নাজমুলসহ কয়েকজন সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বাধা দেওয়ায় নিশিকে মারধর করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আবারও নির্যাতন করা হয় এবং মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর