[email protected] শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

পুলিশের নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৫ ৯:৪০ এএম
আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ৯:৫৭ এএম

পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার নিজ বাড়িতে একটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনা করতেন।

সূত্র জানায়, ধামরাইয়ে অবস্থিত ওই ট্রেনিং সেন্টারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এক মাস আগে থেকে আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

প্রতিটি ব্যাচে ১৫ থেকে ২০ জনকে ভর্তি করা হতো এবং জনপ্রতি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা নেয়া হতো। গত ৭-৮ বছরে এভাবে শতাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করা হয়েছে।

গত ৩ মার্চ এক চিঠির মাধ্যমে ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে কিছু নথি দুদকের হাতে পৌঁছেছে।

অভিযোগের বিশদ বিবরণ অভিযোগ অনুসারে, ছানোয়ার হোসেনের ভাই আব্দুল মান্নান এবং নুরুল ইসলাম এই ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনা করতেন।

নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হতো এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে জমিও আদায় করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, ছানোয়ার হোসেন ও তার পরিবার পুলিশ নিয়োগের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চাকরি নিশ্চিত করতেন।

এছাড়াও, অভিযোগে বলা হয়েছে, ছানোয়ার হোসেন ও তার ভাইয়েরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন এবং ওই অর্থ দিয়ে মূল্যবান সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির অভিযোগও উঠেছে।

সম্পত্তির পরিমাণ তদন্তে উঠে এসেছে, ছানোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের নামে একাধিক জায়গায় জমি রয়েছে। ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭ কোটি টাকার জমি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, তার ভাই আব্দুল মান্নান আরও কয়েকটি জমির বায়না চুক্তি করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা হতে পারে।

ছানোয়ার হোসেনের ক্যারিয়ার ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, এন্টি কিডন্যাপিং স্কোয়াড ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর