[email protected] মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১

হয়রানির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল: আদালতের পর্যবেক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৪:২৭ পিএম

ফাইল ছবি

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও হয়রানির উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্যান্যদের নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়ানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছে আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণার সময় এই পর্যবেক্ষণ দেন। রায়ে খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণ

বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, "একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল, কিন্তু সেটি বিচার হয়নি। অথচ নাইকো মামলার পূর্ণাঙ্গ বিচার করা হয়েছে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "মামলার এক আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পরে অভিযোগ করেন যে, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে রিমান্ডে নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেওয়া হয়, যার রসিদ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।"

বিচারক বলেন, "সেলিম ভূঁইয়াকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি দেওয়ানো হয়েছিল এবং এটি ছিল মামলায় অন্যান্য আসামিদের জড়ানোর কৌশল। এই মামলার উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক হয়রানি।"

মামলার পটভূমি

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অবৈধ ও অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির কারণ হয়েছিলেন আসামিরা।

২০১৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

আদালতে হাজিরা ও রায়ের প্রতিক্রিয়া

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তিনি আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজির হন। অন্যদিকে, জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং একে ন্যায়বিচারের জয় বলে উল্লেখ করেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর