ঢাকার আদালত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে, গত বছরের ৪ মে সপরিবারে বেনজীর আহমেদ বিদেশে চলে যান। এরপর ১৫ ডিসেম্বর দুদক তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী, জীশান মীর্জা ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে, ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে, তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া, গত বছরের ১২ জুন আদালত বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে থাকা ৮টি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর জমি জব্দ করার (ক্রোক) আদেশ দেয়। এই জমিগুলি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান এবং উত্তরায় অবস্থিত, এবং ফ্ল্যাটগুলি ঢাকা শহরের বাড্ডা ও আদাবরে। আদালত আরও দুই দফায় তাদের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রোকের আদেশ দেয়। এ ছাড়া, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও (বিনিয়োগকারী মালিক) হিসাবও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে, তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এবং র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: