আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের দুই ভাই।
বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে মুগ্ধের বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে দেখা করেছি।
নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ দায়ের করেছি। ট্রাইব্যুনাল তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণসহ প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করবে। যারা অপরাধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আমরা আশাবাদী।
সরকার ও ট্রাইব্যুনাল আমাদের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য-প্রমাণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটি প্রশাসনের দায়িত্ব, আমরা নিজেরাই কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।
বিচার ব্যবস্থায় কোনো বাধা আসুক তা চাইনি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করবেন বলে আশা করি। আমরা যে তথ্য ও প্রমাণ দিয়েছি, তা তদন্তের কাজকে অনেকটাই সহজ করবে।”
মুগ্ধের জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, “আমাদের কাছে থাকা প্রমাণ অনুযায়ী, মুগ্ধ পুলিশের গুলিতেই নিহত হয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সত্য উদ্ঘাটন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুগ্ধের পরিবারের অভিযোগ, লাশ দাফনের অনুমতির জন্য থানায় গেলে পুলিশের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পেতে সমস্যা হয়। দীপ্ত জানান, “সেসময় পুলিশ লাশ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করতে পারে বলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।”
মুগ্ধ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর সুষ্ঠু বিচার এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পরিবার দ্রুততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: