বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের অনুমতি বাতিল করেছে। তবে এ প্রশিক্ষনে বাংলাদেশের কোন খরচ নেই।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব ড. আবুল হাসানাত স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতের ভূপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা ছিল।
সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে মনোনীত করা হয়েছিল।
প্রশিক্ষণের অনুমতি দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় সেই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বিচারকদের জন্য ভারতের ভূপালসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এর আওতায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিচারক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
প্রশিক্ষণের সব ব্যয়ভার ভারত সরকার বহন করে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
তবে প্রশিক্ষণের অনুমতি বাতিলের কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রশিক্ষণ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: