বছরখানেক সময় পেলে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “সংস্কারের বিকল্প নেই। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সংস্কার কমিশন মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন।
একবার ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার সহজে এই সংস্কার বাতিল করতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উচ্চতর বিচার বিভাগকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যা শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের কর্তৃত্ব সুসংহত করতে ব্যবহার করা হয়। এ সময় অনেক মানুষ দোষী প্রমাণিত না হয়েও দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন, আর তাদের জামিন আবেদন প্রায়শই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।”
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রতি পাঁচ বছর পর নিয়মিত, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হলে বিচার বিভাগকে ক্ষমতাসীন দল স্বৈরাচারী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারত না।
বিচার বিভাগে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সংস্কারের জন্য তিনটি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
সংলাপে আইন উপদেষ্টা বিচার বিভাগের কার্যকর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সংস্কার কার্যক্রম জরুরি।
এসআর
মন্তব্য করুন: