[email protected] শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪ পৌষ ১৪৩১

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ট্রাইবুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩:১৬ পিএম

ফাইল ছবি

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে, গত রোববার সরকার জানায় যে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গঠন করা হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে ২টি মামলা বিচারাধীন থাকায় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিভিন্ন মহল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য সংগঠন অভিযোগ করে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের গড়িমসি রয়েছে। 

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন মাহিন সরকার এবং আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আন্দোলনের মুখে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার পর পিলখানায় গুলির শব্দ শোনা যায়। শুরুতে বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে কার্যক্রম মনে করা হলেও দ্রুত বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

বিদ্রোহের এক পর্যায়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন পিলখানায় গিয়ে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেন এবং কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে মুক্ত করেন। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল পর্যন্ত বিদ্রোহীরা পিলখানার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিদ্রোহের পরদিন গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মরদেহ। এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।

ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুনর্গঠিত হয়। নাম পরিবর্তন করে বাহিনীটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এখনো বিভিন্ন মহল আন্দোলন করে যাচ্ছে। নতুন করে ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের আশা করছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর