রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছিল, যার প্রাথমিক শুনানি হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন, বিচার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র্যাব ডিজিকে বিবাদী করা হয়।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
রিটকারী আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
তিনি বলেন, "দেশবাসী এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে চায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এই বিষয়ে পুনঃতদন্তের ঘোষণা দিলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।" এর প্রেক্ষিতে পুনঃতদন্তের জন্য রিট আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে, গত সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত শিগগিরই শুরু হবে।
তিনি বলেন, "বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হবে এবং দ্রুতই একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।"
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডটি ছিল দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি ঘটনায়। ওই ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন, যা শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মামলায় হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এই রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
একইসাথে, যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়, আর ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: