রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে দেশটির প্রায় পাঁচ লাখ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। এই বিপুল ক্ষতি অদূর ভবিষ্যতে পূরণ করা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসোভ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড সভায় তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জনবল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে বাধ্যতামূলক সামরিক সেবায় অংশগ্রহণের আগ্রহও কমে যাচ্ছে।
বেলৌসোভ আরও জানান, শুধু জনবল নয়—২০২৫ সালেই ইউক্রেন বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এক লাখের বেশি অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে কয়েক হাজার ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে। এসবের বড় অংশ পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া সহায়তা ছিল বলে দাবি করা হয়।
২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেন সরকার ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমাও কমানো হয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ ঘিরে সাধারণ মানুষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এসব দাবির বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
এসআর
মন্তব্য করুন: