কলকাতায় আর্জেন্টিনার ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসিকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত মেসির এক ঝলক দেখার আশায় উপস্থিত হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মমতা ব্যানার্জি বলেন, “আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে বিচলিত ও মর্মাহত। হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও মেসিভক্তদের মতো আমিও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পথে ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে লিওনেল মেসি এবং সব ক্রীড়াপ্রেমী ও তার ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
ঘটনার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। কমিটিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে সদস্য করা হয়েছে।
মমতা ব্যানার্জি লেখেন, “এই কমিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে, দায় নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ দেবে। আবারও সব ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে আমার আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা।”
জানা যায়, অনুষ্ঠানের সময় লিওনেল মেসিকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে ক্ষুব্ধ দর্শকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ব্যারিকেড ভাঙা, মাঠের ভেতরে বোতল ও চেয়ার ছোড়ার দৃশ্য দেখা যায়।
অনেক দর্শক অভিযোগ করেন, উচ্চমূল্যের টিকিট কিনেও তারা মেসিকে ঠিকভাবে দেখতে পাননি। এক দর্শক বলেন, “টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ছিল পাঁচ হাজার টাকা। অথচ মেসির চারপাশে শুধু ভিভিআইপিরাই ছিলেন। আমরা তাকে দেখতেই পেলাম না। পুলিশ কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়নি? আমরা টাকা ফেরত চাই।”
আরেক দর্শক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা একেবারেই লজ্জাজনক ঘটনা। আমরা ভেবেছিলাম মেসি পুরো স্টেডিয়াম ঘুরবেন। কিন্তু তা হয়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: