[email protected] শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পশ্চিম তীরে নতুন ৭ শতাধিক সেটলার বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিলো ইসরায়েল

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:১৭ এএম

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা সত্ত্বেও

পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকার অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে বসতি স্থাপনকারীদের জন্য ৭৬৪টি নতুন আবাসন নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে—এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল সেভেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার অনুমোদিত এই প্রকল্পে রামাল্লার নিকটবর্তী হাশমোনাইম এলাকায় ৪৭৮টি, বেইতার ইল্লিত এলাকায় ২৩০টি এবং গিভা’ত জে’এভ এলাকায় আরও ৫৬টি বাড়ি নির্মাণের কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক আইন ও বৈশ্বিক সমালোচনা অগ্রাহ্য করে পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ২০২২ সালে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এই কার্যক্রম আরও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ইসরায়েলি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে শুধু পশ্চিম তীরেই বসতি স্থাপনকারীদের জন্য ৫১ হাজারের বেশি নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা রয়েছে। ‘পিস নাও’ নামের একটি নাগরিক সংগঠন জানায়, সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচিত পূর্ব জেরুজালেমে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার এবং পশ্চিম তীরে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ইহুদি সেটলার বসবাস করছেন।

জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আল-আকসা অঞ্চলজুড়ে একটি ইসরায়েলি ও একটি ফিলিস্তিনি—এমন দুই রাষ্ট্র গঠনের কথা থাকলেও পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রতিনিয়ত বসতি স্থাপনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূখণ্ড ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মহল ও জাতিসংঘ একাধিকবার এ বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করলেও দেশটি তা অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে।

গত বছর জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন বসতি নির্মাণকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেই রায় বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসরায়েলি সরকার।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর