[email protected] মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও উত্তেজনা, আহত থাই সেনা দু’জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:৪৯ এএম

সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

রোববার কম্বোডিয়ার সন্নিকটবর্তী থাই প্রদেশ সি সা কেত-এ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে আকস্মিক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুইজন থাই সেনা সদস্য।

থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কম্বোডীয় সেনারা সি সা কেত সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুই থাই সেনা আহত হন— একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ এবং অন্যজন বুকে আঘাতপ্রাপ্ত। পরে থাই বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়, যা প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে স্থায়ী হয়।

সংঘাত থেমে যাওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সীমান্ত লাগোয়া চার থাই প্রদেশ— বুরি রাম, সুরিন, সি সা কেত এবং উবন রাতচাথানি— থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর ঠিক আগে, একই দিন থাইল্যান্ড জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি, সীমান্ত বরাবর থাই ভূখণ্ডে বড় পরিসরে গোপনে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে কম্বোডীয় বাহিনী। এসব ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে ইতোমধ্যে কয়েকজন থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। জাতিসংঘকে ঘটনাটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল ব্যাংকক।

অভিযোগ পেশের কিছু ঘণ্টার মধ্যেই সি সা কেতে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১৫ বছরের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে এ বছরের জুলাইয়ে। পাঁচ দিনব্যাপী সেই সংঘাতে দুই দেশের মোট ৩২ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

সাম্প্রতিক গোলাগুলির ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও উত্তেজনার নতুন মোড় নিতে পারে বলে শঙ্কা বেড়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর