জার্মান নাগরিকত্বের আবেদন করার সময় কেউ যদি
ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল, ভুয়া বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়, তাহলে তাকে পরবর্তী ১০ বছর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। সাম্প্রতিক একটি আইনের খসড়ায় এই কঠোর শাস্তির প্রস্তাব যোগ করা হয়েছে, যা বুন্ডেসটাগের অভ্যন্তরীণ কমিটি অনুমোদন করেছে।
এই সংশোধনীতে জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, কনজারভেটিভ এবং ডানপন্থি AfD সদস্যরা সমর্থন দিলেও, গ্রিনস ও ডি লিংকে দল এর বিরোধিতা করেছে।
বিভিন্ন রাজ্যে ভাষা প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিলের বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসে। এসব জাল সনদ তৈরির সঙ্গে যুক্ত চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। এ কারণে সরকার নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় কঠোরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খসড়াটির চূড়ান্ত আলোচনা ও ভোটাভুটি পার্লামেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে—নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় কেউ যদি প্রতারণা, হুমকি বা ঘুষের আশ্রয় নেয়, তাহলেও একই ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সরকারের মতে, এই ব্যবস্থা আইন ভঙ্গ ঠেকাতে সহায়ক হবে।
এছাড়া আরেকটি পরিবর্তনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে—প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থী বা অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের আটককেন্দ্রে রাখা হলে, রাষ্ট্রীয় খরচে দেওয়া আইনি সহায়তা বন্ধ করা হতে পারে। গত এক বছর ধরে এই সুবিধা দেওয়া হলেও বর্তমান সরকার এটি বাতিল করতে চাইছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: