ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেছেন,
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা নাও করতে পারে এবং দেশটির সঙ্গে ‘বেইমানি’ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জার্মান সাময়িকী ডার স্পিগেল ফাঁস হওয়া এক ইউরোপীয় নেতাদের ফোনকলের নোটের বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রাপ্ত সারাংশ অনুযায়ী, ইউরোপের কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান সাম্প্রতিক মার্কিন ভূমিকা—বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা—নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কথোপকথনে ম্যাক্রোঁ জেলেনস্কিকে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না দিয়েই ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জও জেলেনস্কিকে ‘সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন। তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও ইউরোপ—দুই পক্ষকেই নিয়ে খেলছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনার অংশ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ এবং জ্যারেড কুশনার সাম্প্রতিক মস্কো সফর করেছেন।
এ আলোচনায় ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার স্টাব বলেন, ওই মার্কিন দূতদের ওপর আস্থা রাখা যাবে না এবং ইউক্রেনকে একা ফেলে দেওয়া উচিত হবে না। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট্টেও এই উদ্বেগের সঙ্গে একমত হন এবং জেলেনস্কিকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
ডার স্পিগেল জানিয়েছে, এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
উল্লেখ্য, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ২৮ দফার একটি শান্তিচুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল, যার একটি শর্ত ছিল—চুক্তি হলে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ ডনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে এবং বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু এলাকাও খালি করতে হবে। ইউরোপের নেতারা মনে করছেন, এই প্রস্তাবের বেশিরভাগই রাশিয়ার অনুকূলে।
এসআর
মন্তব্য করুন: