যুক্তরাজ্যে নারীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে নতুন এক তদন্ত প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার বছর আগে লন্ডন পুলিশের কর্মকর্তা ওয়েন কাজেন্সের হাতে তরুণী সারা এভারার্ডকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ব্রিটেনকে কাঁপিয়ে দিলেও নারীর নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে তেমন কোনো বাস্তব পরিবর্তন আসেনি।
সারা হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কমিটির প্রধান, স্কটল্যান্ডের খ্যাতনামা আইনজ্ঞ এলিশ অ্যাঞ্জিওলিনি সতর্ক করে বলেছেন, “ব্রিটেনে নারী-শিকারীরা এখনো মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তরুণী ও নারীরা প্রতিদিনই প্রকাশ্যে হামলার আশঙ্কায় জীবন কাটাচ্ছেন।”
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ঘটনার পর থেকে অসংখ্য নারী যৌন হয়রানি, হামলা ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে—
নারীরা সাধারণত শুধুমাত্র গুরুতর আক্রমণের ঘটনাই রিপোর্ট করেন, কারণ রাস্তা বা গণস্থানে হয়রানি এতটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই ছোটখাটো ঘটনার অভিযোগ জানান না।
জাতিসংঘের এক সমীক্ষার তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের ৭১ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার পাবলিক স্থানে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, ব্রিটেনের পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের একাধিক ঘটনা পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে। এতে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
কয়েকজন নারী সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, তারা বাইরে বের হলে দৌড়ানোর উপযোগী জুতো পরতে বাধ্য হন এবং সর্বদা ফোনে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন, যেন কিছু ঘটলে দ্রুত সাহায্য পাওয়া যায়।
সামাজিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রিটেনে নারীবিরোধী অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ ব্যবস্থা, তদন্ত প্রক্রিয়া ও বিচার বিভাগীয় কাঠামোতে দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা রয়ে গেছে, যা অপরাধীদের দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: