ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতি মামলায়
প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পর প্রথমবার আদালতে হাজির হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই ক্ষমা চাওয়াকে সমর্থন জানালেও ইসরায়েলের বিরোধীদল এ বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। বিরোধীদলের অনেকেই মনে করেন, যদি ক্ষমা দেওয়া হয়, তবে সেটি শর্তসাপেক্ষ হওয়া উচিত—যেমন নেতানিয়াহুর রাজনীতি থেকে অবসর বা দোষ স্বীকার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট মন্তব্য করেছেন, নেতানিয়াহু রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালে তবেই বিচার স্থগিতের পক্ষে তিনি থাকবেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, নেতানিয়াহু সরে গেলে পরবর্তী সরকার গঠনে বেনেটই সম্ভাব্য নেতৃত্ব পাবেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ঘুষ, প্রতারণা ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, যার বিচার ২০২0 থেকে চলমান। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ইতোমধ্যে তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা আদালতের বাইরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ জানিয়েছেন, চলমান বিচারকাজের মধ্যে ক্ষমা প্রদানের নজির নেই এবং এই আবেদন জনগণের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি তিনি সতর্কভাবে বিবেচনা করবেন।
ট্রাম্প হারজোগকে পাঠানো এক চিঠিতে মামলা গুলোকে ‘রাজনৈতিক ও ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করে নেতানিয়াহুকে ক্ষমা দেওয়ার অনুরোধ জানান। আসন্ন নির্বাচনে এই মামলাগুলো বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বর্তমান জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সংগ্রামে রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: