[email protected] শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিরল খনিজে চোখ ভারতের

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৮ এএম

আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের আধিপত্য ও সাম্প্রতিক

ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিরল খনিজভিত্তিক চৌম্বক উৎপাদনে বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে হাঁটল ভারত। বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্কিম টু প্রোমোট ম্যানুফ্যাকচারিং অব সিন্টার্ড রেয়ার আর্থ পার্মানেন্ট ম্যাগনেট’ শীর্ষক কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। প্রথম ধাপে এই প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭,২৮০ কোটি রুপি।

সরকার জানিয়েছে, উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশে বছরে প্রায় ৬ হাজার টন বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ করে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করা হবে। দীর্ঘমেয়াদে এই খাতের প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল ও কাঁচামালেও ভারত স্বনির্ভর অবস্থানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ইলেকট্রিক মোটর, ড্রোন, স্মার্টফোন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম—প্রায় সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেই ব্যবহৃত হয় নিওডিমিয়াম এবং সামারিয়ামজাত শক্তিশালী চুম্বক। বহু বছর ধরেই এসব খনিজ প্রক্রিয়াকরণে চীনের প্রায় একচেটিয়া দখল। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই বেইজিংয়ের ওপর নির্ভরশীল, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাম্প্রতিক সময়ে চীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় বৈশ্বিক বাজার অস্থির হয়। ভারত ছয় মাসের মতো বিরল খনিজ আমদানিতে বাধার মুখে পড়ে। পরে সীমিত শর্তে রপ্তানি পুনরায় শুরু হলেও সেখানে কড়া নিয়ম ছিল—

ভারত এসব খনিজ আমেরিকায় রপ্তানি করতে পারবে না

সামরিক খাতে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ


বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের কৌশলগত কাঁচামালে বিদেশের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা প্রযুক্তি, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা খাতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই নতুন প্রকল্পটিকে তারা অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে মনে করছেন।

ভবিষ্যৎ চাহিদা ও সম্ভাবনা

ভারতের অনুমান, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে স্থায়ী চুম্বকের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। বর্তমানে এর প্রায় সম্পূর্ণটাই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। প্রকল্প সফল হলে ভারত নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে শক্তিশালী চৌম্বক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর