যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম বর্ষপূর্তির দিনেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে
নতুন সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার বোমাবর্ষণ করা হয়।
লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা জানায়, দক্ষিণ জেজিন জেলার আল-মাহমুদিয়া ও আল-জারমা এলাকায় একাধিক বিমান হামলা হয়েছে। এসব হামলায় হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, হিজবুল্লাহর অস্ত্র মজুত থাকার অভিযোগে কয়েকটি লঞ্চিং সাইট, সেনা চৌকি এবং অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীর সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
ইসরায়েল আরও জানিয়েছে, সীমান্তে যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি প্রতিহত করতে এ ধরনের আক্রমণ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সেই সমঝোতা সত্ত্বেও গত এক বছরে লেবাননে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রায় সবসময়ই হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডার বা সদস্যদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে লিতানি নদীর উত্তর দিকে—অর্থাৎ ইসরায়েল সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে—পিছু হটতে হবে এবং সেই অঞ্চলে থাকা তাদের সামরিক স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। লেবানন সরকারও বছরের শেষ নাগাদ দক্ষিণাঞ্চল থেকে গোষ্ঠীটির অবকাঠামো অপসারণের পরিকল্পনা করেছে, এরপর এই উদ্যোগ দেশের অন্যান্য এলাকাতেও সম্প্রসারিত করার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র লেবানন সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে যাতে হিজবুল্লাহকে দ্রুত নিরস্ত্র করা যায়। যদিও লেবাননের সেনাবাহিনী বলছে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অভিযোগ—এই প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট গতি নেই।
এসআর
মন্তব্য করুন: