আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে নতুন
সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র—এমন তথ্য দিয়েছেন দেশটির চারজন সরকারি কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তারা জানান, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ও অঞ্চলে মাদকবিরোধী তৎপরতা জোরদার করতে মার্কিন বাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ক্যারিবীয় এলাকায় সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে এবং মাদক বহনকারী নৌকাগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলাও চালানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযানের সুনির্দিষ্ট তারিখ বা পরিধি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাদুরোকে লক্ষ্য করে গোপন বিশেষ অভিযান চালানোর বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। আরেক কর্মকর্তা বলেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের অভিযোগ বহুদিনের, এবং ট্রাম্প প্রশাসন তা বন্ধে ‘যে কোনো ব্যবস্থা’ নিতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মার্কিন প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে ভেনেজুয়েলার মাদক চক্রের সঙ্গে মাদুরোর যোগ আছে—যদিও মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রয়টার্সকে আরও দুজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, মাদুরো সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নতুন নয়, তবে ট্রাম্পের সময় এই চাপ আরও বেড়েছে। মাদুরো অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন—ভেনেজুয়েলার জনগণ ও সেনাবাহিনী বাইরের যে কোনো হস্তক্ষেপ প্রতিহত করবে।
এদিকে, আগামী সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘কার্টেল দে লোস সোলেস’ নামের ভেনেজুয়েলার একটি মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি—এই গোষ্ঠীর সঙ্গে মাদুরোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র ওই গোষ্ঠীর যুক্ত সম্পদের পাশাপাশি মাদুরোর সম্পদেও ব্যবস্থা নিতে পারবে। যদিও ট্রাম্প বলেছেন—মাদুরোর সম্পদ লক্ষ্য করে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ওয়াশিংটন আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক।
এসআর
মন্তব্য করুন: