লেবাননের প্রভাবশালী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ডি-ফ্যাক্টো
সামরিক প্রধান হাইথাম আলী তাবাতাবাঈকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানী বৈরুতের একটি স্থানে এ আঘাত হানা হয়।
প্রাথমিকভাবে শুধু হামলার ঘটনার কথা জানা গেলেও পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করে যে তাবাতাবাঈই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
হিজবুল্লাহর বর্তমান নেতা নাঈম কাশেমের পরই তাবাতাবাঈ সংগঠনটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর সামরিক কৌশল, বিশেষ বাহিনী রাদওয়ান ইউনিট এবং ইসরায়েল সীমান্তসংলগ্ন তিন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জোন—নাসার, আজিজ ও বদর—পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
সিরিয়া ও ইয়েমেনের যুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ছিলেন এবং হুথি বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অভিজ্ঞতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিজবুল্লাহর মধ্যে তার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়, বিশেষত ইসরায়েলি হামলায় একাধিক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হওয়ার পর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করেছেন—তাবাতাবাঈ হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।
যদিও গত বছর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, তবুও লেবাননের সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে। রাজধানী বৈরুতে হামলা তুলনামূলক বিরল; সর্বশেষ জুলাই মাসে পূর্বসতর্কতা দিয়ে ইসরায়েল সেখানে বোমা নিক্ষেপ করেছিল।
এসআর
মন্তব্য করুন: