[email protected] রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম : ট্রাম্প

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৪৪ এএম

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত ঠেকাতে দুই

দেশকে কড়া শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন—এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ইউএস–সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের এক সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।

ট্রাম্প জানান, দুই প্রতিবেশী দেশ তখন পারমাণবিক হামলা নিয়ে প্রায় প্রস্তুত ছিল। এ পরিস্থিতিতে তিনি তাদের সতর্ক করে বলেন—যদি যুদ্ধ বাধে, তাহলে দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে বাধ্য হবে। তার ভাষায়, “আপনারা চাইলে মারামারি চালিয়ে যেতে পারেন, তবে জানবেন—আপনাদের প্রতিটি পণ্যের ওপর বিশাল শুল্ক বসবে। পরমাণু বিস্ফোরণের ধুলোবালি যদি লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত উড়ে আসে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”

ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, এই বার্তা পাওয়ার পর দুই দেশের নেতাই অসন্তুষ্টি জানালেও তিনি একরোখাভাবে বলেন—তার সিদ্ধান্ত বদলানোর কোনো সুযোগ নেই।

হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রথম ফোন আসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কাছ থেকে। ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তান তখনই উত্তেজনা প্রশমন করতে সম্মতি জানায়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও একই ধরনের বার্তা পান তিনি। তার বক্তব্য, “শেষ পর্যন্ত আমি লাখো মানুষের জীবন রক্ষা করেছি।”

পটভূমিতে ছিল কাশ্মিরের সাম্প্রতিক সহিংসতা। গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগাম এলাকায় টিআরএফ নামে একটি গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই হিন্দু তীর্থযাত্রী। এই সংগঠনটির সম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে।

এর জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সীমিত আকারের সামরিক আক্রমণ চালায়, যেখানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের বিভিন্ন সন্দেহভাজন ঘাঁটিতে বিমান হামলা চলানো হয়। এতে মোট ৫১ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। দুই দিন পর পাকিস্তান ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ নামে পাল্টা অভিযান চালায়, যার ফলে ভারতীয় সেনা ও বেসামরিক মিলিয়ে ২১ জন প্রাণ হারান।

উভয় দেশের উত্তেজনা চরমে ওঠার পর ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফোনে বৈঠকে বসেন এবং ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। পরবর্তী কয়েক ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয় এবং এখনো তা কার্যকর রয়েছে।

আগেও একাধিকবার ট্রাম্প দাবি করেছেন যে দক্ষিণ এশিয়ার দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ তিনি ঠেকিয়েছিলেন। পাকিস্তান এ দাবিকে সত্য বলে উল্লেখ করলেও ভারত এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য জানায়নি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর