যুদ্ধবিরতির মাঝেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৫

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ থামেনি।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিভিন্ন স্থানে চালানো বিমান, ড্রোন ও কামান হামলায় কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে শাফাক নিউজ।

গাজা সিটির আল-জেইতুন এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয়স্থল একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হন। আল-মাওয়াসি এলাকায় ড্রোন হামলায় আরও পাঁচজন আহত হন। পূর্ব গাজার আল-শুজাইয়া এলাকায় কামান হামলায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। এছাড়া খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলার খবর পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের হামলায় ২৫ জন নিহত এবং ৭৭ জনের বেশি আহত হয়েছেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৫১৩ জন, আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৫ জন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আল-জেইতুন এলাকায় হামাসের সামরিক কমান্ডারদের একটি বৈঠক লক্ষ্য করে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামাসের ওই এলাকার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এবং নৌ ইউনিট প্রধানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে সেনাবাহিনী দাবি করে, খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গুলি চালানো হয়েছে, যা তাদের মতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন। ওই ঘটনার পরই পাল্টা হামলা চালানো হয় বলে জানায় তারা।

চলতি বছরের ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং কিছু এলাকায় সেনা প্রত্যাহার করা হলেও প্রতিদিনই বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রতি মার্কিন প্রস্তাবিত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যাতে গাজা পুনর্গঠন ও প্রশাসনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী এবং ‘বোর্ড অব পিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইসরায়েলের অনীহা এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন তৈরি করেছে।