[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের বিবৃতি

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ৮:০৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার রায় ঘোষণার পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল তাঁর ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন,
“বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় সম্পর্কে আমরা অবগত। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাব।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ফেরত পাঠানো উচিত। তবে ভারতের বিবৃতিতে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য ছিল না।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞা এবং অবন্ধুসুলভ আচরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে সতর্ক করে।

এদিকে, ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি সোমবার ‘হোয়াই দিস ভার্ডিক্ট পুটস ইন্ডিয়া ইন আ ট্রিকি সিচুয়েশন’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিশ্লেষক অন্বরাসন এথিরাজন।

তার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার দণ্ড ভারতের জন্য জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ—

  • এর আগেও ঢাকা প্রত্যর্পণ চাইলেও দিল্লি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
  • দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে তা নাকচ করার আইনি সুযোগ ভারতের রয়েছে।
  • প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, তাই তাঁকে ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক পরিসরে অনীহা রয়েছে।

বিশ্লেষণে আরও উল্লেখ করা হয়, দিল্লি যদি প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে, তা ঢাকার কাছে নেতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হতে পারে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন চাপ তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে অনুরোধ মানা হলে দীর্ঘদিনের মিত্রকে উপেক্ষা করার প্রশ্ন তৈরি হবে। ফলে, ভারতের সামনে এখন সংবেদনশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক পথচলার চ্যালেঞ্জ। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর