[email protected] শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এলডিসি উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দেবে ডব্লিউটিও

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪১ এএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) দেশটিকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-মহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং।

এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে ডব্লিউটিও’র কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ যে সুবিধা পাচ্ছে, তা উত্তরণের পরেও বন্ধ হবে না। বরং উন্নয়নশীল অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়াতে ডব্লিউটিও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও জোরদার করবে।

উপ-মহাপরিচালক জানান, এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ)-এর প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও আরও পাঁচ বছর ইআইএফ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে দেশটি।

ইআইএফ-এর সহায়তায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং তৈরি পোশাক খাতের মূল্য শৃঙ্খলা উন্নয়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এইড ফর ট্রেড ইনিশিয়েটিভ’-এর শীর্ষ সুবিধাভোগীদের মধ্যে দীর্ঘদিন রয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশটি এ উদ্যোগের আওতায় পেয়েছে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ডব্লিউটিও বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন শিয়াংচেন ঝাং।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) ডব্লিউটিও রেফারেন্স সেন্টার বাণিজ্যসংক্রান্ত নথি ও তথ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তবে এলডিসি উত্তরণের পর ডব্লিউটিওতে বাংলাদেশের ভূমিকা ও কৌশল পুনর্বিন্যাস গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে তিনি মনে করেন।

এখন পর্যন্ত দেশটি এলডিসি গ্রুপের অংশ হিসেবে আলোচনা-পরামর্শে অংশ নিলেও, উত্তরণের পর উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে নতুন কৌশলগত জোট গঠনে মনোযোগ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে ডব্লিউটিওতে যোগ দেয় এবং ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য নীতি, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট— বিশেষত আরসিইপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন দিগন্ত খুলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর