টানা দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা
উপত্যকায় অন্তত ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
এই ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির কারণে শীত শুরুর আগেই লক্ষাধিক মানুষ বাধ্য হয়ে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক অভিযানের ফলে চলমান যুদ্ধবিরতিও কার্যত অর্থহীন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ‘শেল্টার ক্লাস্টার’ নামের একটি মানবিক সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি ইউএনআরডব্লিউএ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের যৌথ পরিচালনায় কাজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি গাজার পরিস্থিতি তুলে ধরে।
সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, শীতের আগমনের আগেই লাখো ফিলিস্তিনি পরিবার সীমিত জায়গায় গাদাগাদি করে তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছে। এতে গোপনীয়তা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে, একই সঙ্গে খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেও তারা চরম সংগ্রামের মুখোমুখি।
উল্লেখ্য, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর থেকে প্রযোজ্য যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রতিনিয়ত চুক্তি ভঙ্গ করে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় প্রতিদিনই বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন এবং মানবিক সহায়তা গাজায় পৌঁছাতেও বড় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি জীবন হারিয়েছেন, যাদের বড় অংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। ক্রমাগত ধ্বংসের ফলে গাজা উপত্যকা আজ প্রায় বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: