পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক
সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান প্রয়োজনে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে লক্ষ্যভিত্তিক অভিযান চালাতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে আফগান তালেবান সরকারের আশ্রয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সময়ের পর সময় বাংলাদেশে (এখানে নির্দেশিত দেশ পাকিস্তান) হামলা চালাচ্ছে এবং এই সহায়তা পুরোপুরি অবিশ্বাস্য।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই দিনে দেশের দুটি বড় সন্ত্রাসী ঘটনার হতাহত তালিকায় রয়েছে — একটি ঘটেছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানা অঞ্চলের ক্যাডেট কলেজে এবং আরটি ছিল রাজধানী ইসলামাবাদে। ইসলামাবাদে হওয়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণটিতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও তিন দশকেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে, যার ফলে দেশটিতে নিরাপত্তা দিক থেকে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সুদূর অভিযান না করার কথা বললেই চলে না। তিনি আরও বলেন, “তালেবান বললে আমরা এগুলো রোধ করতে পারতাম — কিন্তু হামলার বার্তাগুলি কাবুল থেকেই এসেছে বলে আমাদের তথ্য পাওয়া গেছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন পাকিস্তান কখনোই আগ্রাসন শুরু করবে না, তবু যদি কারো পক্ষ থেকে হামলা পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে কড়া জবাব দেয়া হবে।
খাজা আসিফ এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, তারা একটি ধরনের যুদ্ধের মুখে আছে এবং যারা মনে করছে পাকিস্তান কেবলমাত্র সীমান্ত এলাকায় লড়ছে, ইসলামাবাদের হামলা সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছে। তিনি দেশের সেনাবাহিনীকে এই সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মূল শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সেনাদের ত্যাগকে জাতির নিরাপত্তার ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন।
সংক্ষেপে, পাকিস্তান সরকার এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ ও লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাব্যতার কথা উস্কে দিয়েছে—কিন্তু তারা একইসঙ্গে প্রতিপক্ষকে জোর দিয়ে জানাচ্ছে যে তারা সরাসরি আগ্রাসন শুরু করবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: