[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
২২ কার্তিক ১৪৩২

জোহরান মামদানির জয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশি-আমেরিকানরা

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫ ৯:০৪ পিএম

নিউইয়র্কে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র জোহরান মামদানি

 

 

‘লিটল বাংলাদেশে’ উৎসবমুখর পরিবেশ
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জোহরান মামদানি। তিনি দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান ও প্রথম মুসলিম, যিনি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হলেন।

তার বিজয়ে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে শহরের জ্যাকসন হাইটস এলাকার ‘লিটল বাংলাদেশ’ কমিউনিটিতে। এলাকাবাসীর অনেকে জানিয়েছেন, মামদানি প্রার্থী হওয়ায় এবারের নির্বাচন নিয়ে তাদের আগ্রহ ছিল অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

স্থানীয় রেস্তোরাঁ ‘কাবাব কিং’-এ মামদানি নিয়মিত যেতেন। সেই রেস্তোরাঁয়ই নির্বাচনের রাতে আয়োজন করা হয় বিজয় উৎসবের। মালিকের ছেলে জানান,

“প্রথমে পার্টির পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু মামদানির অনেক সমর্থক ও ভক্তের আগ্রহে আমরা আয়োজন করি। সেদিন অনেক মানুষ এখানে এসে আনন্দে মাতেন।”

কমিউনিটির সদস্যদের ভাষায়, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও মুসলিম অভিবাসীরা আমেরিকান সমাজে নিজেদের প্রান্তিক মনে করতেন। মামদানির জয়ে তারা নতুন করে আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

এক তরুণ ভোটার রামোন কৌশিক বলেন,

> “আমি জেনারেশন জেড প্রজন্মের মানুষ। এর আগে এত বড় কোনো রাজনৈতিক সাফল্যের সাক্ষী হইনি। মামদানির মতো একজন প্রার্থীর জন্য ভোট দিতে পেরে সত্যিই গর্বিত।”

তিনি আরও বলেন,

“মামদানি যখন কথা বলেন, তখন মনে হয় তিনি সত্যিই মানুষের জন্য কিছু করতে চান। তার ভাষণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।”

বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেন,

“এই শহর অভিবাসীদের পরিশ্রমে চলে। এখন সেই অভিবাসীদের মধ্য থেকেই একজন এই শহরের নেতৃত্ব দেবে। কোটিপতিরা নয়, সাধারণ পরিশ্রমী মানুষের কণ্ঠ এবার শোনা যাবে।”

তার এই বক্তব্যে আনন্দে ভরে উঠেছে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়—যাদের কাছে মামদানি এখন শুধু একজন রাজনীতিক নন, বরং তাদের আশা ও প্রতিনিধিত্বের প্রতীক।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর