গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে
হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ২২ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল শুজাইয়া এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় এবং পরে রেডক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শুরু থেকে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, আর এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। অধিকাংশই ইসরায়েলি নাগরিক।
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে—পাওয়া এক মরদেহ তাদের নিখোঁজ বন্দিদের কারও সঙ্গে মেলেনি। দেশটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে তখনই, যখন সব বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়া সম্পন্ন হবে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে।
চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া, প্রত্যেক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেবে বলে ঠিক হয়েছে।
গাজার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আওতায় যেসব ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই বিকৃত এবং নির্যাতনের চিহ্নযুক্ত।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ।
এসআর
মন্তব্য করুন: