ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি আঘাত হেনে অন্তত ৬৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ে লাখো মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। খবর—বিবিসি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সেবু দ্বীপে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ২৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়—বন্যার পানিতে গাড়ি ও কনটেইনার ভেসে যাচ্ছে, অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ছাদে বা উঁচু ভবনে।
মৃতদের মধ্যে ফিলিপাইন সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রু সদস্যও রয়েছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে হেলিকপ্টারটি মিন্দানাও দ্বীপে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু আগুসান দেল সুর এলাকায় সেটি বিধ্বস্ত হয়। পরে উদ্ধারকর্মীরা ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সময় গতকাল ভোরে কালমায়েগি স্থলভাগে আঘাত হানে। যদিও এর তীব্রতা কিছুটা কমেছে, তবুও বর্তমানে ঘণ্টায় ৮০ মাইল (প্রায় ১৩০ কিলোমিটার) বেগে বাতাস বইছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজই ঝড়টি ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হবে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উপপ্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার প্রস্তুতি চলছে, তবে খারাপ আবহাওয়া ও ধ্বংসাবশেষে ভরা রাস্তাগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো বলেন, “সেবুর ইতিহাসে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আগে কখনো দেখা যায়নি।”
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে স্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, ঝড়টি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: