[email protected] বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
২১ কার্তিক ১৪৩২

গণহারে ভিসা বাতিলের পথে কানাডা, জালিয়াতিতে জড়িত ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫ ৮:১৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আসা ভিসা আবেদনে জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কানাডা সরকার।

দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে।

কানাডার সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসি নিউজের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিতে দেখা গেছে, সরকার বিল সি-১২ নামে একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তুলেছে। প্রস্তাবটি পাস হলে ভিসা জালিয়াতি শনাক্তের পর গণহারে ভিসা বাতিলের একচ্ছত্র ক্ষমতা পাবে কর্তৃপক্ষ।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এর লক্ষ্য— ভিসা জালিয়াতি শনাক্ত, বাতিল এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা।

অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে ভারত ও বাংলাদেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জপূর্ণ দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কারণেই গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব জানিয়েছেন, মহামারি ও যুদ্ধ-সংক্রান্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এই নতুন ক্ষমতা প্রয়োজন। তিনি কোনো দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি।

এদিকে কানাডার ৩০টিরও বেশি মানবাধিকার ও সুশীল সমাজ সংগঠন বিলটির বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সংগঠনের মতে, এই আইন কার্যকর হলে সরকার গণবিরোধী আচরণের ঝুঁকিতে পড়বে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা কমে যাবে।

অন্যদিকে, হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট প্রত্যাখ্যানের হার রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। চলতি বছরের আগস্টে জমা দেওয়া প্রতি চারটি আবেদনের মধ্যে তিনটিই বাতিল হয়েছে— অর্থাৎ প্রায় ৭৪ শতাংশ আবেদন খারিজ করেছে কানাডা সরকার।

২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। একই সময়ে ভারতীয় আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজার ৯০০ থেকে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৫১৫-এ।

কানাডা সরকার জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা জালিয়াতি ও অস্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্বিতীয় দফায় আন্তর্জাতিক স্টাডি পারমিটের সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে।

রয়টার্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে প্রায় ১,৫৫০টি জাল ভর্তি স্বীকৃতিপত্র শনাক্ত হয়। নতুন যাচাইকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে গত বছর আরও ১৪ হাজারের বেশি জাল নথি ধরা পড়ে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর